ওয়েবসাইট কি? এর প্রকারভেদ ? এর কাঠামো বিস্তারিত আলোচনা

Spread the love

একই ডোমেইন নেমের অধীনে একাধিক ওয়েবপেজের সমষ্টিকে ওয়েবসাইট বলে। যেমন-www.srbehance.com একটি ওয়েবসাইট যেখানে অনেক ওয়েবপেজ আছে।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দেখার জন্য ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা ফাইলগুলোকে ওয়েবপেজ বা ওয়েব ডকুমেন্ট বলে। একটি ওয়েবপেজের উপাদান হলো ওয়েবপেজের বিভিন্ন তথ্য যেমন- টেক্সট বা লেখা, গ্রাফিক্স, অডিও-ভিডিও, বিভিন্ন লিংক ও ডেটাবেজ ফাইল ইত্যাদি সরাসরি বা লিংক আকারে সংযুক্ত থাকে।

ওয়েবপেজের প্রকারভেদ :

অবস্থানের উপর ভিত্তি করে ওয়েবপেজ ২ প্রকার। যথা-
১. লোকাল ওয়েবপেজ : স্থানীয়ভাবে ডিজাইন ও সংরক্ষনকৃত ওয়েবপেজগুলোকে লোকাল ওয়েবপেজ বলে। এগুলো সাধারণত সোর্স ড্রাইভ ও ডিরেক্টরি থেকে সহজেই ব্যবহার করা যায় এবং ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই ব্রাউজ করা যায়।
২. রিমোট ওয়েবপেজ: দূরবর্তী কোন কম্পিউটারে সংরক্ষিত ওয়েবপেজগুলোকে রিমোট ওয়েবপেজ বলে। এ ধরনের ওয়েবপেজ ব্রাউজ করার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ ও URL অ্যাড্রেস জানার প্রয়োজন হয়।

ওয়েবসাইট(Website) এর প্রকারভেদ

গঠন ও বৈচিত্রের উপর ভিত্তি করে ওয়েবসাইট ২ প্রকার। যথা-
১. স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট(Static Website)
২. ডাইনামিক ওয়েবসাইট(Dynamic Website)

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট(Static Website)
যে সকল Website এ পূর্ব থেকে তৈরিকৃত কিছু তথ্য প্রদর্শন করে সে সকল ওয়েবসাইটকে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বলে। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট শুধুমাত্র HTML ভাষা দিয়ে তৈরি করা যায়।

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য :

  • কন্টেন্ট নির্দিষ্ট থাকে ফলে দ্রুত লোড হয়।
  • ব্যবহারকারী তথ্য প্রদান ও আপডেট করতে পারে না।
  • কোন প্রকার ডেটাবেজের সাথে সংযোগ থাকে না।
  • কেবলমাত্র সার্ভার থেকে ক্লায়েন্টে একমুখী কমিউনিকেশন হয়।
  • সহজেই সার্চ ইঞ্জিন পরিচালনা করা যায়।

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের সুবিধা :

  • রক্ষণাবেক্ষন ও উন্নয়ন খরচ কম।
  • তুলনামূলক বেশি নিরাপদ।
  • সহজেই নিয়ন্ত্রন করা যায়।
  • দ্রুত লোডিং হয়।
  • সহজেই ওয়েবপেজের লে-আউট তৈরি করা যায়।
  • ইন্টারনেট গতি কম হলেও সহজেই ডাউনলোড করা যায়।
  • শুধুমাত্র HTML ও CSS ভাষা ব্যবহার করে তৈরি করা যায়।
  • দ্রুততা, দক্ষতা ও নিরাপত্তার সাথে কন্টেন্ট সরবরাহ করা যায়।

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের অসুবিধা :

  • কন্টেন্ট আপলোড করতে সময় বেশি লাগে।
  • রান টাইমে কন্টেন্ট আপডেট করা যায় না।
  • ব্যবহারকারী থেকে ইনপুট নেওয়া যায় না।
  • মানসম্মত ওয়েবসাইট ডিজাইন করা কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ।
  • ওয়েবসাইটের আকার বৃদ্ধি পেলে নিয়ন্ত্রন করা কঠিন হয়ে যায়।

ডাইনামিক ওয়েবসাইট(Dynamic Website)
যে ওয়েবসাইট আপডেট তথ্য প্রদর্শন করে তাকে ডাইনামিক ওয়েবসাইট বলে। ডাইনামিক ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তন হয়ে প্রদর্শিত হয় এবং ওয়েবসাইটের ডেটার মান ওয়েবপেজ প্রদর্শনের পরেও পরিবর্তন করা যায়। ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করতে HTML ও CSS সহ Javascript, PHP, .Net, ASP, JSP ইত্যাদি ভাষা ব্যবহার করা হয়।

ডাইনামিক ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য/সুবিধা :

  • রান টাইমে কন্টেন্ট পরিবর্তন করা যায়।
  • আকর্ষণীয় ও ইন্টারঅ্যাকটিভ লে-আউট তৈরি করা যায়।
  • ব্যবহারকারী থেকে ইনপুট নেওয়া যায়।
  • আকার বৃদ্ধি পেলেও কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রন করতে অসুবিধা হয় না ।
  • মানসম্মত ওয়েবসাইট ডিজাইন করা যায়।
  • ই-কমার্স সুবিধা বেশি।
  • অনেক বেশি তথ্যবহুল হয়।
  • ডেটাবেজ ব্যবহৃত হওয়ায় কুয়েরি করে তথ্য বের করা যায়।
  • তথ্য দ্রুত আপলোড করা যায়।
  • ব্যবহারকারী তথ্য প্রদান ও আপডেট করতে পারে।

ডাইনামিক ওয়েবসাইটের অসুবিধা :

  • খরচ অনেক বেশি।
  • দক্ষ জনবল প্রয়োজন হয়।
  • ডাইনামিক কন্টেন্ট তৈরি ও ডেটাবেজ ব্যবহৃত হওয়ায় লোড হতে বেশি সময় লাগে।
  • উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন করা তুলনামূলক জটিল।
  • তুলনামূলক কম নিরাপদ।

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট ও ডাইনামিক ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্য

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট ডাইনামিক ওয়েবসাইট
 ১. আপডেট তথ্য প্রদর্শন করে না।  ১.আপডেট তথ্য প্রদর্শন করে।
 ২.রান টাইমে কন্টেন্ট পরিবর্তন করা যায় না।  ২.রান টাইমে কন্টেন্ট পরিবর্তন করা যায়।
 ৩.ব্যবহারকারী থেকে ইনপুট নেওয়া যায় না।  ৩.ব্যবহারকারী থেকে ইনপুট নেওয়া যায়।
 ৪.তুলনামূলক বেশি নিরাপদ।  ৪.তুলনামূলক কম নিরাপদ।
 ৫.ডেটার মান ওয়েবপেজপ্রদর্শন করার পর পরিবর্তন করা যায় না।  ৫.ডেটার মান ওয়েবপেজপ্রদর্শন করার পর পরিবর্তন করা যায়।
 ৬.শুধুমাত্র HTML ও CSS ভাষা ব্যবহার করে তৈরি করা যায়।  ৬.HTML ও CSS সহ Javascript, PHP, .Net, ASP, JSP
ইত্যাদি ভাষা ব্যবহার করা হয়।
 ৭.কন্টেন্ট আপলোড করতে সময় বেশি লাগে।  ৭.কন্টেন্ট আপলোড করতে সময় কম লাগে।
 ৮.ডেটাবেজ সংযোগ থাকে না।  ৮.ডেটাবেজ ব্যবহৃত হয়।
 ৯.খরচ কম।  ৯.খরচ বেশি।
 ১০.উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন করা সহজ।  ১০.উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন করা তুলনামূলক জটিল।

ব্যবহারের ভিত্তিতে ওয়েবসাইট এর প্রকারভেদ :

  • E-Commerce Website: যে সকল ওয়েবসাইটে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় এবং মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা থাকে তাদেরকে ই-কমার্স ওয়েবসাইট বলে। যেমন-amazon.com, daraz.com.bd ইত্যাদি।
  • News Portal (নিউজ ওয়েবসাইট) : চলমান সংবাদ বিশ্বের যে কোন প্রান্তে প্রচার করার জন্য তৈরি ওয়েবসাইটকে নিউজ পোর্টাল বলে। যেমন-prothomalo.com, bbc.com, thedailysunnah.com ইত্যাদি।
  • Blog Website: যখন কোন ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট এক বা একাধিক বিষয়ের উপর লেখা প্রকাশের উদ্দেশ্যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে, তখন ঐ ওয়েবসাইটকে ব্লগ ওয়েবসাইট বলে।
  • সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট : যে সকল ওয়েবসাইট সামাজিক যোগাযোগের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয় সে সকল ওয়েবসাইটকে সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট বলে। যেমন-www.facebook.com, www.twitter.com ইত্যাদি।
  • Business Website : ব্যবসায়িক প্রচার-প্রসার ও সেবাদানের উদ্দেশ্যে যে সকল ওয়েবসাইট তৈরি করা হয় সে সকল ওয়েবসাইটকে বিজনেস ওয়েবসাইট বলে। যেমন-www.grameenphone.com, www.rfl.com.bd ইত্যাদি।

ওয়েবসাইট (Website) এর সুবিধা:

  • ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য যে কেউ যে কোন স্থান থেকে সবসময় দেখতে পারে।
  • ওয়েবসাইটে তাৎক্ষনিক তথ্য প্রকাশ করা যায়।
  • ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের টেক্সট, গ্রাফিক্স, অডিও, ভিডিও এবং অ্যানিমেশন যুক্ত করা যায়।
  • ঘরে বসে বাস, ট্রেন ও প্লেনের টিকিট কাটা যায়।
  • হসপিটাল ও হোটেলে রুম বুকিং দেওয়া যায়।
  • ঘরে বসে কোন প্রতিষ্ঠানে না গিয়েও প্রয়োজনীয় ফর্ম পূরণ করা যায়।
  • ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে ঘরে বসে বেচা-কেনা করা যায়।
  • প্রয়োজনীয় তথ্য ডাউনলোড করা যায়।
  • যে কোন প্রয়োজনীয় তথ্য খুব সহজে জানা যায়।
  • সামাজিক যোগাযোগ সাইটের মাধ্যমে বিশ্বের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব ও মতবিনিময় করা যায়।
  • ঘরে বসে কোন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া যায়।
  • ওয়েবসাইট ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক সময় সাশ্রয় হয়।

 

একটি ওয়েবসাইট খুলতে যা যা প্রয়োজন:
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে নিচের চারটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। যথা-

১.প্রথমে ডোমেইন নেইম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
২. ওয়েবসাইটের পেজগুলো ডিজাইন করতে হবে।
৩.ওয়েবসাইটটি সার্ভারে হোস্ট করতে হবে।
৪.ওয়েবসাইটটি বেশি প্রচারমুখী করার জন্য করতে SEO হবে।

একটি ওয়েবসাইট খোলার জন্য নিম্নলিখিত জিনিসগুলি প্রয়োজন:

১. ডোমেইন নাম: আপনার ওয়েবসাইটের নাম নির্ধারণ করতে একটি ডোমেইন নাম প্রয়োজন, যেমন www.example.com অথবা www.yourname.com.

২. ওয়েব হোস্টিং: আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলি সংরক্ষণ এবং ওয়েবসাইট অনলাইনে দেখাতে পারতে একটি ওয়েব হোস্টিং প্ল্যান প্রয়োজন.

৩. ওয়েবসাইট ডিজাইন: আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন তৈরি করতে একটি ওয়েব ডিজাইন টুল ব্যবহার করতে পারেন বা একজন ওয়েব ডিজাইনার সাথে কাজ করতে পারেন।

৪. ওয়েব পেজ সামগ্রী: আপনার ওয়েবসাইটের পেজগুলি তৈরি করতে পারেন, সেগুলি আপনার সেবা, পণ্য বা তথ্য সামগ্রী প্রদান করতে হবে।

৫. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: আপনার ওয়েবসাইট ফাংশনালিটি যেমন নেভিগেশন মেনু, ফর্ম, ইমেজ গ্যালারি, কন্ট্যাক্ট ফর্ম ইত্যাদি যোগ করতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন।

 

ওয়েবসাইটের কাঠামো

যে অবকাঠামোতে একটি ওয়েবসাইটের সকল তথ্য বা বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা হয় তাকে ওয়েবসাইটের কাঠামো বলে। একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে অনেক ধরনের পেজ থাকে, এই পেজগুলো কিভাবে সাজানো থাকবে তা হলো ওয়েবসাইটের কাঠামো। একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে প্রথমে কোন পেজ আসবে, সেখান থেকে অন্যান্য পেজগুলি কিভাবে পওয়া যাবে তা ওয়েবসাইটের কাঠামোতে ঠিক করা হয়।

ওয়েবসাইটের কাঠামোর অংশ:
ওয়েবসাইটের কাঠামোর তিনটি অংশ। যথা-

১.মূলপেজ(Homepage)
২.মূলধারার পেজ(Main Section)
৩.উপ-ধারার পেজ(Sub Section)

মূলপেজ(Homepage): কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে প্রথমেই যে পেজ প্রদর্শিত/লোড হয় তাকে Homepage বলে। Homepage হলো কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির ওয়েবসাইটের প্রধান পেজ। ব্রাউজারে ওয়েব অ্যাড্রেস টাইপ করে লোড করলেই মূল পেজ প্রদর্শিত হয়। এখানে মেনু তৈরি করে অন্যান্য পেজের সাথে যুক্ত করা থাকে।
মূলধারার পেজ(Main Section): Homepage বা মূল পেজের পরের ওয়েবপেজগুলোকে মূলধারার পেজ বা Main Section বলে। Main Section একাধিক পেজের সমন্বয়ে গঠিত হয়।
উপ-ধারার পেজ(Sub Section): হোমপেজ থেকে মেইন সেকশন ও মেইন সেকশন থেকে আবার অনেকগুলো পেজের সাথে যুক্ত থাকলে তাকে উপ-ধারার পেজ বা Sub Section বলে।

 

ওয়েবসাইটের কাঠামোর প্রকারভেদ:

ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ওয়েবসাইটের কাঠামো চার প্রকার। যথা-
১.হায়ারারকিক্যাল বা ট্রি কাঠামো(Tree Structure)
২.ওয়েব লিংকড বা নেটওয়ার্ক কাঠামো(Network structure)
৩.লিনিয়ার কাঠামো(Linear structure)
৪.হাইব্রিড বা কম্বিনেশন কাঠামো(Hybrid structure)

 

 

হায়ারারকিক্যাল বা ট্রি কাঠামো(Tree Structure)
যে ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সমস্ত ডকুমেন্টের পূর্ণাঙ্গ চিত্র সংক্ষিপ্ত আকারে থাকে এবং ওয়েবপেজগুলো শাখা-প্রশাখায় সাজানো থাকে তাকে হায়ারারকিক্যাল বা ট্রি কাঠামো বলে।  নিচে একটি হায়ারারকিক্যাল বা ট্রি কাঠামোর উদাহরণ-www.facebook.com । নিচে ট্রি কাঠামোর চিত্র দেওয়া হলো-

নেটওয়ার্ক কাঠামো(Network structure)
যে ওয়েবসাইটের কাঠামোতে সবগুলো পেজের মধ্যে একে অপরের সাথে লিংক থাকে তাকে নেটওয়ার্ক কাঠামো বলে। এই কাঠামোতে মেইন পেজের সাথে যেভাবে অন্যান্য পেজের লিংক থাকে ঠিক তেমনি অন্যান্য পেজের সাথেও মেইন পেজের লিংক থাকে। অর্থাৎ প্রত্যেকটি পেজের সাথে প্রত্যেকটি পেজের লিংক থাকে।নেটওর্য়াক পদ্ধতি একটু জটিল প্রকৃতির কিন্তু ব্যবহারের দিক থেকে সহজ। কারন এই ধরনের ওয়েবসাইটের যে কোন পেজ থেকে অন্য যে কোন পেজে যওয়া যায়। এই কাঠামোতে ফ্রেম ব্যবহার করা হয় যাতে ফ্রেমের মধ্যে অন্যান্য পেজের লিংক মেনু আকারে উপস্থাপন করা যায়। এই ফ্রেমটি সাধারণত স্থির থাকে এবং কোন একটি লিংক সিলেক্ট করলে ঐ পেজটি বড় ফ্রেমের মধ্যে দেখায়। উদাহরণ-www.wikipedia.com । নিচে নেটওর্য়াক কাঠামোর চিত্র দেওয়া হলো-

লিনিয়ার কাঠামো(Linear structure)
যে ওয়েবসাইটের পেজগুলো একটি নির্দিষ্ট অনুক্রমে সাজানো থাকে এবং কোন পেজের পর কোন পেজ আসবে তা নির্দেশিত থাকে তাকে লিনিয়ার বা সিকুয়েন্স কাঠামো বলে। যখন কোন ওয়েবসাইটের পেজগুলো ক্রমানুসারে দেখার প্রয়োজন পড়ে তখন লিনিয়ার কাঠামো ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের কাঠামোতে পেজগুলো ভিজিট করতে সাধারণত Next, Previous, First, Last ইত্যাদি লিংক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সাধারণত প্রোগ্রামিং বা ট্রেনিং সাইটে এবং অনলাইন বই মুদ্রণে এ ধরনের স্ট্রাকচার ব্যবহার করা হয়। ওয়েবসাইটে পেজের সংখ্যা যদি কম হয় তাহলে লিনিয়ার কাঠামো ব্যবহার করা ভালো, এতে করে সহজেই ডকুমেন্টটির যে কোন অংশ খুঁজে বের করা যায়। উদাহরণ-www.youtube.com । নিচে লিনিয়ার কাঠামোর চিত্র দেওয়া হলো-

হাইব্রিড বা কম্বিনেশন কাঠামো(Hybrid structure)
একাধিক কাঠামো ব্যবহার করে যদি ওয়েবসাইট ডিজাইন করা হয় তখন তাকে হাইব্রিড বা কম্বিনেশন বা মিশ্র কাঠামো বলে। অনেক সময় লিনিয়ার কাঠামো ও ট্রি কাঠামোর মাধ্যমে হাইব্রিড কাঠামো তৈরি করা হয়। বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ ধরনের কাঠামো ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ ধরনের কাঠামোতে অনেক দিক থেকে লিংক করা থাকে, ফলে সহজেই তথ্য খুঁজে বের করা যায়। এ ধরনের স্ট্রাকচার ব্যবহার করলে ওয়েবসাইটের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায়, ভিজিটরদের জন্য ভিজিট করা সহজ হয় এবং সাইটের মেমোরি স্পেস কমানো যায়। উদাহরণ-www.google.com । নিচে হাইব্রিড কাঠামোর চিত্র দেওয়া হলো-


Spread the love

Leave a Reply